ঢাকায় হাউজ শিফটিং বা বাসা বদল এখন আর শুধু “ট্রাক ভাড়া” আর “লেবার খোঁজা”র মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ইদানীং দেখা যাচ্ছে—এই বাসা বদলের পেছনে লুকিয়ে আছে কিছু গোপন ফাঁদ, কিছু হয়রানিমূলক অভিজ্ঞতা, আর কিছু এমন প্রতারণার গল্প—যা শুনলে অবাক হবেন আপনি নিজেই।
চলুন জেনে নিই এক বাস্তব ঘটনার আলোকে, বাসা বদলের হয়রানির সেই অন্ধকার দিক, এবং কীভাবে আপনি এসব ফাঁদ এড়িয়ে নিরাপদভাবে বাসা বদল করতে পারেন।
রাফি, উত্তরার এক ফ্রিল্যান্সার। নতুন বাসায় উঠতে গিয়ে অনলাইনে একটি হাউজ মুভিং সার্ভিস খুঁজে পান। ওয়েবসাইটে সস্তা অফার আর “১০০% নিরাপদ সার্ভিস” দেখে যোগাযোগ করেন।
প্রথমে তারা সবকিছু খুব পেশাদারভাবে বলে—কিন্তু আসল বিপত্তি শুরু হয় বাসা বদলের দিন।
শেষ পর্যন্ত, রাফিকে পকেট থেকেই বাড়তি টাকা দিয়ে, ক্ষতিগ্রস্ত মালপত্র নিয়েই নতুন বাসায় উঠতে হয়।
ঢাকায় বাসা বদল এখন চাহিদাসম্পন্ন একটি সেবা হওয়ায়, অনেকেই এই বাজারে প্রবেশ করেছে। কিন্তু এর মধ্যে অনেকেই ভুয়া:
এই সমস্ত ভুয়া মুভিং সার্ভিস ঢাকা শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটা বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ধরণের ‘স্ক্রিপ্ট’ ব্যবহার করে:
নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখলেই আপনি সচেতন থাকতে পারবেন:
সত্যিকারের নিরাপদ বাসা বদল নিশ্চিত করতে হলে এসব যাচাই করা বাধ্যতামূলক।
বাসা বদলের হয়রানি নতুন কিছু নয়। তবে আপনি যদি একটু সচেতন থাকেন, যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেন—তবে খুব সহজেই ফাঁদ এড়িয়ে ঝামেলামুক্ত হাউজ শিফটিং উপভোগ করতে পারবেন।